হালুয়াঘাট প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার সংড়া গ্রামের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী (২০) নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে বুধবার বিকেলে সংড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে স্কুল থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এর আগে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ঐ নারীর ভাই রফিকুল ইসলাম (৫০)কে আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী থাকলেও নিয়মিত ঐ নারী স্কুলে যেত। অন্যান্য মেয়েদের সাথে সেও বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে বসে পাঠদানে অংশ নিতো।

ঐ নারীর ভাইয়ের অভিযোগ, গত ২২ অক্টোবর বিকেলে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম কৌশলে তার প্রতিবন্ধী বোনকে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলার নামাজের কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। কিছু ছাত্র-ছাত্রী ঘটনাটি দেখে ফেললে শিক্ষক দ্রুত পালিয়ে যায়।

সংড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহমদ আলী বলেন, এক সপ্তাহের বেশী আগে তখন মডেল টেস্ট পরীক্ষার ডিউটি থাকায় আমি সেদিন বিদ্যালয়ে ছিলাম না। পরবর্তীতে আমি বিদ্যালয়ে গিয়ে সহকারী শিক্ষকদের মাধ্যমে জানতে পারি শিক্ষক রফিকুল ইসলাম নাকি ঐ নারীর গায়ে হাত দিয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা কথাবার্তা বললে আমরা তাদেরকেও জিজ্ঞাস করলে, কেউ সরাসরি ঘটনাটি দেখেছে এমন কাউকেই পাইনি। এই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীতো সমগ্র দেশ নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। এখন আমরা তো কেউ ঘটনাটি দেখি নাই। রফিকুল মাষ্টার সাহেব বহু বছর ধরে শিক্ষকতা করেন। অনেক ছাত্র-ছাত্রী তার রয়েছে। কখনো উনার বিরুদ্ধে এমন কোন অভিযোগ আমরা শুনি নাই।

এ ঘটনায় নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, যদি ঘটনাটি সত্য হয় তাহলে শিক্ষক রফিকুল ইসলামের যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়, আর যদি মিথ্যে হয় তাহলে যারা শিক্ষকের সম্মান নিয়ে খেলছেন তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ বিষয়ে পুলিশের নিরপেক্ষ সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন তারা।

হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হাফিজুল ইসলাম হারুন বলেন, ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক বর্তমানে হালুয়াঘাট থানা হেফাজতে রয়েছেন। ঐ নারীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।