অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে গোপনে নারী সহপাঠীদের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি তোলার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি এসব ছবি তাঁর এক সিনিয়র ভাইয়ের কাছে পাঠাতেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ছাত্রী ইতোমধ্যে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। তিনি ইন্টার্নশিপ চলাকালে নারী সহপাঠীদের ঘুমন্ত বা অপ্রস্তুত অবস্থায় গোপনে ছবি তুলে তা বিভাগের সাবেক এক ছাত্রের কাছে পাঠাতেন। বর্তমানে ওই সিনিয়র শিক্ষার্থী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার হিসেবে কর্মরত।
মঙ্গলবার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ডিনের সঙ্গে বৈঠক করে অভিযুক্ত ছাত্রীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মজিদ গনমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষার্থীরা অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে আসে। আমরা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে ছবি আদান–প্রদানের প্রমাণ পাই। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি ঘটনাটি স্বীকার করেছেন।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে মোবাইলটি সিলগালা অবস্থায় ডিন অফিসে সংরক্ষিত রয়েছে এবং বিষয়টি যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ ও নিরোধ কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হবে।
অভিযুক্ত সিনিয়র শিক্ষার্থী বলেন, আমি মেয়েটির সঙ্গে দীর্ঘদিন কথা বলেছি। সে যেসব ছবি পাঠিয়েছে, আমি তা সংরক্ষণ করিনি। আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না; তবে আমি আমার কাজের জন্য অনুতপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তা মেনে নেব।
সহপাঠীদের অভিযোগ, ইন্টার্নশিপ চলাকালে ওই ছাত্রীর সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ্য করায় তাঁরা নজরদারিতে রাখেন। পরে নিশ্চিত হন, তিনি সহপাঠী মেয়েদের অপ্রস্তুত অবস্থায় ছবি তুলতেন। বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পর তাঁরা বিভাগীয় শিক্ষকদের অবহিত করেন এবং কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।










