কলমাকান্দা প্রতিনিধি : নেত্রকোণার কলমাকান্দায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত শর্ত ভঙ্গ করে জমি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে - খুকু মণি দাস এর বিরুদ্ধে ! সে বর্তমানে কলমাকান্দা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের নকলনবিশ। এবিষয়ে সম্প্রতি কলমাকান্দার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী। এঘটনাটি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিশরপাশা মৌজায়। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। সোমবার ভুমি অফিস ও লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের বিশরপাশা মৌজায় সাবেক হিসাব ৮৪০ / নতুন হিসাব ৮৭০, খতিয়ান ৫১৬/১, এস,এ দাগ নং -৪৩, বি,আর,এস দাগ নং -৩৬৩ এর ১.০০ একর জমি চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে বিগত ০৫.১১.২০০০ ইং তারিখে ৫৩২১ কবুলিয়ত মূলে জমি পেয়েছেন খুকু মণি দাস।

সম্প্রতি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত শর্ত ভঙ্গ করে একই ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের ছেলে সাইফুল ইসলামের নিকট ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্য নির্ধারণ করে ১ লক্ষ ৫০ হাজার বায়না গ্রহন করে তার দখলে বুঝাইয়া দেন খুকু মণি দাস। যাহা বর্তমান চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ভূমি শর্ত অনুযায়ী সম্পূর্ণ বেআইনি বলে জানা যায়। আরো জানা যায় ওই এলাকার কৃষকগন ইরি-বোরো ফসলের চাষাবাদ করার সময় পানি সেচ দেওয়ার চেষ্টা করলে প্রতিবছর বাধা দিয়ে আসছে বন্দোবস্ত প্রাপ্ত পরিবারের লোকজন। পানি সেচে বাধা দেওয়ার কারণে ওই এলাকার জমিতে পানির অভাবে ফসল নষ্ট হয়। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত সরকারি শর্ত ভঙ্গ হওয়ার কারণে জনস্বার্থে বন্দোবস্ত বাতিল করে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দাবি জানান ওই এলাকার জনসাধারণ।

এ বিষয়ে খুকু মণি দাস এর মুঠোফোনে বলেন, বিশরপাশা মৌজায় আমার নামে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত জমিটি সাইকুল ইসলামের নিকট আড়াই লক্ষ টাকা মূল্যে আমি বিক্রি করেছি। তবে আমি নগদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা সাইকুলের কাছ থেকে নিয়ে দখল বুঝিয়া দিয়েছি। পরে বাকি টাকা নিয়ে কাওলা করে দিয়ে দিব।

এবিষয়ে সাইকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, আমি ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বায়না করে খুকু মনি দাসের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত জমিটি দখল বুঝে নিয়েছি। বাকি ১ লক্ষ টাকা দিয়ে সাব কাওলা করে নিব। তবে পানি সেচ বাধা দেওয়ার কথা ঠিক না।

এ ব্যাপারে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত রায় বলেন, অভিযোগ পেয়েছেন বলে সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি জানান, তদন্ত করে এর প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।