তারাকান্দা প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কাকনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও শিক্ষকরা তার বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণ, বিদ্যালয়ের পিয়নকে চাকরি থেকে বঞ্চিত করা এবং উপবৃত্তি ও উন্নয়ন বরাদ্দের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন।

ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণ ও মহাসড়কে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা।

অভিযোগে বলা হয়, বিদ্যালয়ের পিয়ন নুরুজ্জামান ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকলেও প্রধান শিক্ষক তাকে বিদ্যালয়ে প্রবেশে বাধা দেন এবং চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার চেষ্টা করেন। লিখিত ছুটি আবেদন জমা দিলেও তা গ্রহণ করা হয়নি।

অভিযোগকারী নুরুজ্জামান বলেন, অসুস্থ থাকাকালীন উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিতভাবে ছুটির আবেদন করেছিলাম, কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি। পরে ডাক বিভাগে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে আবেদন পাঠাই, যার রশিদ নম্বর ৪৭৪, ৪৭৫ ও ৪৭৬— এসব প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে। আমাকে চাকরি থেকে সরিয়ে দিতে ষড়যন্ত্র চলছে।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা জানান, প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান নিয়মিতভাবে সহকর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। পিয়নের প্রতি অমানবিক আচরণের পাশাপাশি তিনি বিদ্যালয়ের উপবৃত্তি ও উন্নয়ন বরাদ্দের অর্থ বিল-ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া অভিভাবকরা বলেন, আমাদের সন্তানদের শিক্ষা নষ্ট হচ্ছে। এই প্রধান শিক্ষকের পদে থাকা অনুচিত। তাকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে।

অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের পিয়ন নুরুজ্জামান আমার কাছে কোনো ছুটির আবেদন করেননি। তবে তিনি অসুস্থ ছিলেন বিষয়টি সত্য।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওবাইদুল শাহীন বলেন, বিষয়টি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কাকনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। দ্রুত সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায্য পদক্ষেপ না নিলে এলাকায় উত্তেজনা বাড়তে পারে।