সবুজ ডেস্ক : বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। কোনো একক কারণ নয়, শিবির সন্দেহসহ আরো কয়েকটি কারণে তাকে হত্যা করা হয় বলে এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে ডিএমপি। এদিকে, পলাতকদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
হত্যাকাণ্ডের এক মাসের কিছু বেশি সময় পর বুধবার (১৩ নভেম্বর) আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় চার্জশীট জমা দেন গোয়েন্দা পুলিশ। একইসঙ্গে মামলার আলামত হিসেবে একটি ল্যাপটপ, স্ট্যাম্প, আবরারের রক্তমাখা জামা কাপড়, সিসিটিভির ফুটেজসহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত জমা দেয়া হয়েছে।
এ নিয়ে রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম। জানান, শিবির সন্দেহ, সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্বসহ আরো বেশ কয়েকটি কারণে হত্যা করা হয় আবরারকে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ২০১১ নম্বর রুমে যারা সরাসরি মারপিটে অংশগ্রহণ করেছেন তার সংখ্যা ১১ জন। বাকিরা পরিকল্পনা এবং ঘটনাস্থলে অনুপস্থিত থেকেও নির্দেশনায় সম্পৃক্ত ছিল। ঘটনার মোটিভ হিসেবে একক কোনো কারণ দাঁড় করানো যাচ্ছে না।
মামলায় মোট সাক্ষী করা হয়েছে ৩১ জনকে। আসামি ২৫। এদের মধ্যে ৮ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পলাতক রয়েছে ৪ জন।
অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, পারিপার্শ্বিক বিবেচনা এবং ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, হল অথরিটির এখানে ব্যর্থতা রয়েছে।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, আবরার হত্যা মামলার ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর লক্ষ্য ছিল নির্ভুল চার্জশিট দেয়া, সেটা সম্ভব হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, আমাদের তদন্ত সংস্থা পুলিশ বাহিনীর মাধ্যমে যে চার্জশিটটি গিয়েছে সেটি নির্ভুল চার্জশিট দিয়েছে। শীঘ্রই এর বিচার হবে আমরাও আশা করছি।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলছেন, দ্রুত শুনানি শেষে মামলার চার্জ গঠন করে বিচার কাজ শুরুর চেষ্টা করবেন তারা।
এই মামলার আসামি এবং সাক্ষী সবাই বুয়েটের ছাত্র-শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী।










