শেরপুরের নকলায় দুই পক্ষের বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী (৬৫) আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশির বিরোদ্ধে। (২৭ মার্চ) শুক্রবার সকালে উপজেলার গজারিয়া কিংকরপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। হামলায় আহত মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী নকলা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় আহত মুক্তিযোদ্ধা বাদী হয়ে গতকাল বৃপস্পতিবার (২৯ মার্চ) ৮ জনকে আসামী করে নকলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে ও লিখিত অভিযোগে জানাযায়, নকলা উপজেলার গজারিয়ার কিংকরপুর এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী ব্যাক্তিগত উদ্যেগে একটি মহিলা মাদরাসা (নির্মানাধীন) করেন। প্রতিবেশি দুলাল মিয়া, মামুন, সজিব, চান মিয়া, মধু মিয়া, দুলারী বেগম, পাকিজা খাতুন ও সেতারা বেগমরা মহিলা মাদরাসার মাঠ সংলগ্ন দক্ষিন পার্শ্বে তারা খোলা টয়লেট দিয়ে ময়লা আবর্জনা আমাদের মাদরাসার দিকে ফেলে। এই বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে প্রতিবেশিরা ক্ষিপ্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলীর উপর হামলা করে। পরে তিনি আহত হয়ে মাটিতে পরে গেলে শামসুল হক নামের এক ব্যাক্তি আহত অবস্থায় নকলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী বলেন, মহিলা মাদরাসার মাঠের পাশে প্রতিবেশি দুলাল মিয়া খোলা টয়লেট দিয়ে ব্যাবহার করে আসতেছে এবং সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলে মহিলা মাদরাসাসহ চারদিকের পরিবেশ নস্ট করতেছে। এতে করে আমাদের মাদরাসার ক্ষতি হচ্ছে। দুর্ঘন্ধে মাদরাসায় ও তার আসপাশে থাকা যায় না। তাই আমি এটি স্বাস্থ্য সম্মতভাবে ব্যাবহার ও ময়লা আবর্জনা ফেলতে নিষেধ করলেই আমার উপর অভিযোগে উল্লেখিত ব্যাক্তিরা আক্রমন করে। আমি বর্তমানে নকলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি।
এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী’র প্রতিবেশি দুলাল মিয়া গংদের সাথে একাধীকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তাদের কোন বক্তব নেওয়া সম্ভব হয়নি।
গনপদ্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুর রহমান আবুল জানান, মারামারির বিষয়টি আমি শুনেছি। তাদের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলিয়া আসছিল। সেই বিরোধের জেরে মারামারি হইছে। আমার কাছে এ ব্যাপারে কেউ আসেনি।
নকলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন শাহ বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।










