দেওয়ানগঞ্জ সংবাদদাতা : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বেশকিছু এলাকায় বাড়িঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে উপজেলার চুকাইবাড়ি ইউনিয়নে বন্যায় প্লাবিত ও পানিবন্দী পরিবারের সংখ্যা বেশি।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে। পানি থই থই করছে। ডুবে গেছে টয়লেট, টিউবওয়েল, রান্নার চুলা। বাঁচার তাগিদে মানুষ আশ্রয় নিয়েছে উঁচু বাঁধ, স্কুলসহ অন্যান্য উঁচু স্থানে। সরেজমিন উপজেলার চুকাইবাড়ী ইউনিয়নের বালুগ্রাম দক্ষিণ পাড়া, চাকুরিয়া, গুচ্ছগ্রাম ও গুজিমারী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বেশির ভাগ মানুষের ঘরের মেঝে পানিতে ডুবে গেছে।
গুজিমারি গুচ্ছ গ্রামের বাবু মিয়া বলেন, ‘বন্যার শুরুতেই বাড়িঘরে পানি উঠেছে। এক সপ্তাহ যাবৎ রেলওয়ে উচ্চবিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছি।’ তিনি ত্রাণসহায়তা পেয়েছেন বলে জানান। তবে বসতবাড়ি ফেলে রেখে যারা আশ্রয়কেন্দ্রে জাননি তাঁদের অনেকেই সরকারি ত্রাণসহায়তা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। এদিকে বালুগ্রামের জালাল মিয়া বলেন, ‘বেড়িবাঁধ না থাকায় চুকাইবাড়ি ও চিকাজানী ইউনিয়ন বন্যায়ই প্লাবিত হয়ে পড়ে। বাড়িঘরে পানি ওঠে এলাকাবাসী হয়ে পড়ে পানিবন্দী। ত্রাণ দেওয়ার পাশাপাশি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে এলাকাকে বন্যার দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করা প্রয়োজন। তিনি এ সময় বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।’
উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর সূত্র জানা গেছে, এবারের বন্যায় চুকাইবাড়ি ইউনিয়ন অধিকাংশই পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দী মানুষের জন্য সরকারি একেএম কলেজ, রেলওয়ে উচ্চবিদ্যালয়, রেলওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ আশ্রয়কেন্দ্রে গুলোয় ৩০০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুনাহার শেফা বলেন, ‘বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে। এ ছাড়া বন্যার জন্য আলাদা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন সর্বদা তৎপর।’










