কলমাকান্দা প্রতিনিধি : ধানী শ্রমিক সংকটে নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলায় বোরো ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা। সম্প্রতি অতি বৃষ্টি হওয়ার কারণে পাহাড়ি ঢলে অনেক জমির ধান পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। ডুবে যাওয়ায় গবাদির পশুর খাদ্য খড় এর ঘাটতি আংশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে যেমন কাটতে সমস্যা হচ্ছে, তেমনই ধানের ফলন কমে যাওয়ায় শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এনিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তবে উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, শতকরা ৭৩ ভাগ ক্ষেতের ধান এরই মধ্যে কাটা হয়েছে। বাকি ধানও কাটা হচ্ছে।

কৃষক রজব আলী বলেন, ‘আমি ১০ কাটা জমিতে ধান চাষ করেছি। কিন্তু সব ধান পানিতে ডুবে যাই। এতে খুব বিপাকে পড়ি । শ্রমিকও সংকট বাধ্য হয়ে নিজেরাই ধান কাটছি। যেখানে ধানের ফলন হতো ৫০/৭০ মণ, এখন সেখানে ২৫ থেকে ৩৫ মণ করে হবে। আরেক কৃষক সাত্তার মিয়া বলেন, ‘ সম্প্রতি অতি বৃষ্টিতে আমাদের অনেক ক্ষতি হলো। আমার আবাদকৃত ধান পানিতে ডুবে গেছে। হেলে পড়া ও পানিতে ডোবা ধান শ্রমিকরা কাটতেও চাইছে না। তিনা বেলা খাবার দিয়েও দৈনিক ৯০০/১০০০ টাকা জনপ্রতি করে ওপরের কিছু ধান কাটতে পারলেও বাকি ধান পানিতে হারিয়ে যাচ্ছে। এর কারণে ধানের ফলন কম হবে। ’এতে খরচই উঠবে না।

কলমাকান্দা উপজেলা কৃষি অফিসার মো. ফারুক আহমেদ বলেন, ‘চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২১ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে শিলাবৃষ্টিতে ৫ হেক্টর বোরো ফসল নষ্ট হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলায় ৭৩ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে মাঠে থাকা পাকা ধান তলিয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা বিপাকে পড়ছে।