কলমাকান্দা প্রতিনিধি : আগুনে দগ্ধ অন্তঃসত্ত্বা কলমাকান্দার সুরাইয়া নেওয়াজ লাবণ্য ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে ওই দিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে লাবণ্য একটি মৃত সন্তানের জন্ম দেয়। নিহত লাবণ্য কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের গাখাজোড়া গ্রামের শাহ মোস্তফা আরিফুল ইসলামের একমাত্র সন্তান ও ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের ঘাগগড়া গ্রামের মো.শাহীনুর আলম শাহীনের স্ত্রী।

শুক্রবার রাতে নিহতের লাশ নিজ পৈতৃক বাড়ীতে এসে পৌঁছালে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। ওই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিহতের জানাযা নামাজ শেষে নিজ গ্রাম গাখাজোড়া গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। শনিবার সকালে লাবণ্যর চাচা শাহ মোস্তফা মো. সাঈদুল ইসলাম বাদী হয়ে স্বামী মো. শাহীনুর আলম শাহীনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে কলমাকান্দা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৭(১০)২১ ইং। এ মামলা দায়ের বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কলমাকান্দা থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুল্লাহ্ খান।

লাবণ্যের বাবা শাহ মোস্তফা আরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, লাবণ্য আমার একমাত্র সন্তান। বিয়ের পর তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে আমার মেয়ের ওপর অনেক মানসিক নিপীড়ন চালায়। অতিষ্ঠ হয়ে সে গায়ে কোরোসিন দিয়ে আগুন দেয়। তিনি আরও বলেন, আমার মেয়েকে তার স্বামী বা শ্বশুর বাড়ি কেউ দেখতে আসেননি। কেউ কোনো খোঁজও নেননি।

এ ব্যাপারে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় মামলার এজাহারভূক্ত আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।