
মৌ চাষীরা বছরের প্রায় ৬মাস বিভিন্ন ফল ফসলের ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে থাকেন। অবশিষ্ট ৬মাস তারা বেকার জীবন-যাপন করে। অবশিষ্ট ৬মাস মৌমাছিকে খাবার হিসেবে চিনি দিয়ে বাঁচিয়ে রাখেন। মৌ চাষীদের মধু সরকারিভাবে সংগ্রহ ও মৌ চাষের জন্য আর্থিক সহযোগিতার দাবী জানান মৌ চাষীরা।
মৌ চাষী গোলাম মোস্তফা জানান, ভ্রাম্যমাণ মৌ চাষীরা ৬মাস মধু সংগ্রহ করলেও বাকী ৬মাস বেকার বসে থাকে। বেকার থাকাবস্থায় জীবন যাপন করতে খুব কষ্টকর বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সে সময় মৌমাছি বাঁচিয়ে রাখতে খাদ্য হিসেবে চিনি দেয়া হয়। ৬মাস চিনি কিনে আর মৌ চাষীরা পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন পরিচালনা করে খুব কষ্ট করে। সরকার যদি মৌ চাষীদের অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করতেন তাহলে মৌ চাষীরা বানিজ্যিকভাবে মৌ চাষ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনসহ দেশে বেকারত্বের সমস্যা কমে যেত।
জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আমিনুল ইসলাম জানান, সারা জেলায় প্রায় ৩০টি স্পষ্টে প্রায় সাড়ে ৪হাজার বাকশো বসানো হয়েছে। কৃষকরা সরিষার পরে বোরো করবে। অন্তবর্তীকালীন ফসল হিসেবে সরিষা খুব লাভজনক। এতে সরিষা চাষীরাও লাভবান হচ্ছে আবার মৌ চাষীরাও লাভবান হচ্ছে। চলতি মৌসুমে জেলার ৭টি উপজেলায় প্রায় ২১হাজার ৮শ ৫০হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। যেখান থেকে প্রায় ২কোটি টাকার মধু উৎপাদন হবে।