নিজস্ব সংবাদদাতা : আগামী দিনে জনগণের রায়ে বিএনপি রাষ্ট ক্ষমতা পেলে শ্রমিকদের যে কোন স্বার্থ রক্ষায় পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ। তিনি বলেন, আগামীদিনে তারেক রহমানের রাজনীতি হবে দীক্ষিত ও পরীক্ষিত। তিনি মাঠের রাজনীতি বুঝেন, শ্রমিকের সুখ দুঃখ অনুভব করতে পারেন। রাষ্ট্র ক্ষমতায় সুযোগ পেলে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করা হবে। তবে ১৭ বছরের কষ্ট ও নির্যাতন ৫ বা ৬ মাসে শেষ করা যাবে। সকল গুম খুন ও নির্যাতনের বিচার আইনের মাধ্যমে হবে, ধৈর্য্য ধরুন।
বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুর ১টায় ময়মনসিংহ নগরীর হরিকিশোর রায় রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে ওয়াহাব আকন্দ আরও বলেন, বিগত সময়ে দেশের অসংখ্য নিরীহ শ্রমিক চাকরিচ্যুত হয়েছেন। গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অবিলম্বে কলকারখানাসহ সকল প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদে বঞ্চিত ও নির্যাতিত শ্রমিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজের সুযোগ করে দিন। বঞ্চিতদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে ন্যায্য মজুরি ও শ্রম আইন বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে ময়মনসিংহ মহানগর শ্রমিক দল এই শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করে।
এতে সভাপতিত্ব করে মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম। এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শাহ শিব্বির আহমেদ ভুলু, একেম মাহাবুবুল আলম, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মফিদুল ইসলাম মোহন।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সৈয়দ শরীফ, রতন আকন্দ, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোজাম্মেল হক টুটু, সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের হোসেন শাকিল, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ রবিনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঢাক-ঢোল-পিটিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে এই শ্রমিক সমাবেশে যোগ দেয়।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রমিক সংগঠন র্যালী ওধ আলোচনা সভা করে। এতে নগরীর দোকানপাটসহ সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল বন্ধ। সড়কে যান চলাচলও ছিল অতি সামান্য।