কেন্দুয়া প্রতিনিধি : নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মৃৎশিল্পীরা ব্যস্ততা সময় পার করছে। শনিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ভীষণ ব্যস্ততায় সময় কাটাচ্ছেন ঐসব পরিবারের মেয়ে, বউ ও বয়স্করা।
ইতোমধ্যে পুকুড়িয়া হাওর, মাটিয়ারকুড়ি (বিল) থেকে কাদা মাটি সংগ্রহ করে তৈরী করা হয়েছে মাটির বিভিন্ন জিনিসপত্র-পুতুল, ষাঁড়, গরু, ঘোড়া, থালা-বাসন ইত্যাদি। চলছে ভার্নিস ও রং করা। অনেক ক্ষেত্রে এসব জিনিসপত্রে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে নানা চিত্রকর্ম।
মৃৎশিল্পী নওমিতা রাণীর (৬০) বলেন, শত বছরের বেশি সময় ধরে আমরা এই কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। তবে বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে আমাদের কাজের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে পরিবারের ছোট বড় অন্যন্যা সদস্যরাও সহযোগিতা করে থাকে।
তিনি আরো বলেন, বাপ দাদার ঐতিহ্য ধরে পড়ে আছি। অন্য কোন কাজও জানা নেই। ভীষণ কষ্ট ও পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। তারা সরকারের আর্থিক সাহায্য অথবা সুদ মুক্ত ঋণ গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে দাবী জানাচ্ছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামের ৫/৭টি বাড়িতে এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন মৃৎশিল্পীরা। নেই আধুনিক কোন প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি। সম্পূর্ণভাবে হাতের কারুকার্যে গড়ে তোলা হচ্ছে এই আসবাবপত্র ও খেলনা জিনিসপত্র ।
নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য হারিফ উদ্দিন হানিফ ও নওপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সালাহউদ্দিন সালাম বলেন বলেন, এই কাজ আমাদের আবহমান বাংলার শিল্পী স্বত্তা পরিচয় বহন করে। আমাদের অতীত ও বর্তমান কতটা পরিশ্রম ও গর্বের তা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে তাঁদের জন্যে সরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন।










